শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষক সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ৯, ২০২৪

শিক্ষক সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত
এম.এম হায়দার আলীঃ
ইং ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত  অবহেলিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উত্তর জিরবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সুন্দরবন উপকূলীয় পানি বেষ্টিত দ্বিপাঞ্চল খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের উত্তর জিরবুনিয়া গ্রামে অবস্থিত প্রাথমিকের এ বিদ্যাপীঠটি। যে বিদ্যালয়ে বিগত ৩৪ বছর ধরে কোন ইসলাম ধর্মাবলম্বী শিক্ষক না থাকায় ।মুসলিম অধ্যুষিত এদেশে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সেখানকার ইসলাম ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। ৩৪ বছর বয়সী এই বিদ্যালয়টিতে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যাও মাত্র ৩৪ জন। ৩ জন শিক্ষকের একজন পিটিআইতে থাকায় অসুস্থ্য প্রধান শিক্ষক সহ মাত্র ২ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে সকল শ্রেণীর  পাঠদান কার্যক্রম। তথ্যানুসন্ধানকালে,বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নমিতা রানী মন্ডল জানান, তিনি ইসলাম ধর্ম বিষয়ে পাঠদান করেন। তিনি বলেন, প্রতি ক্লাসে ১টি বিষয়ে পাঠ দানের সময় ৩০ মিনিট। শিক্ষক সংকটে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত একজন শিক্ষিকা (তিনি) প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ৩০টি ক্লাসের বিপরীতে নিয়ম করে সর্বোচ্চ ১৩টি ক্লাস নিতে পারেন। তবে মাত্র একজন শিক্ষক থাকায় প্রতি ক্লাস ধরে রাখতে ৫/১৫ মিনিট পর্যন্ত ক্লাসে থাকতে পারেন। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, ৩য় থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত ৩টি শ্রেণিতে মাত্র ৫জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত রয়েছে। শিক্ষক সংকট থেকে শুরু করে নানা প্রতিকূলতায় সকল শিক্ষার্থীরা নিযমিত স্কুলে থাকেনা। এ প্রসঙ্গে সেখানকার ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুইটি সরকার জনায়, একজন শিক্ষিকা একই সময়ে স্কুলের সব শ্রেণির ক্লাস এক সাথে নিতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তিনি তাদের ক্লাসের পাঠদান করেন মাত্র ৫-১০ মিনিট। এ জন্য অবশ্য তাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।অভিভাবক কুন্টলিকা দাস বলেন, দুই জন শিক্ষক স্কুলে থাকলেও একজন অসুস্থ্য। বিধায় মাত্র একজন শিক্ষক ৫টি শ্রেণির সকল বিষয়ে পাঠ দান করা একেবারেই অসম্ভব। এভাবে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারেনা বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র মন্ডল বলেন, তিনি খুব অসুস্থ্য তারপরও তিনি মাঝে মাঝে ক্লাস নেন। শিক্ষক স্বল্পতায় বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কম বলেও মনে করেন তিনি।উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা বলেন, শিক্ষক বদলীর বিষয়টি অনলাইনে আবেদন করতে হয়। এখন পর্যন্ত এব্যাপারে কেউ আবেদন করেনি বলে দাবি করে তিনি বলেন, শিক্ষক সংকট রয়েছে। আগামীতে শিক্ষক পাইলে সেখানে দেয়া হবে।
0 Comments